শিরোনাম
Passenger Voice | ১২:২৬ পিএম, ২০২০-০৮-২০
১. বাংলাদেশের সতেরো কোটি মানুষসহ দেশী-বিদেশী যারা আসা-যাওয়া করে তারা সবাই কিন্তু যাত্রী। এমন কি সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সকল মালিক-শ্রমিকগনও যাত্রী। কিন্তু আমাদের দেশে যাত্রী সেবা ও তাদের অধিকার অবস্থা কি?
২. মালিক ও শ্রমিক পক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, মন্ত্রনালয়/সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী, মালিক-শ্রমিক আর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যগন অর্থাৎ যারা যাত্রীদের অধিকার সংরক্ষণ এবং সেবা প্রদান করবেন তারা সবাই শক্তিশালী ও জোটবদ্ধ।
৩. দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, শিক্ষা, যাত্রীদের সচেতনতা আর ভিআইপি সংস্কৃতিসহ অন্যান্য বিষয়গুলোও আমরা জানি।
৪. জনাব ইলিয়াস কাঞ্চন ও জনাব মোজাম্মেলসহ যেসকল বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিরাপদ সড়ক ও যাত্রী অধিকার নিয়ে কাজ করে আমি তাদের অনেকের সাথেই একটা অহিংস সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্যে কথা বলেছি কিন্তু তারা বিষয়টিতে শুধু অনাগ্রহ প্রকাশই করেনি বরং তাদের অনেকেই আমার কাছে ধান্দাবাজ (টাকা কামান, প্রচার-প্রচারে থাকা, ইত্যাদি) মনে হয়েছে।
৫. তাই, যে যাই বলুক না কেন, আমার বিচারে বর্তমান অবস্থায় বাংলাদেশে নিরাপদ সড়ক ও যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ (সড়ক, রেল, পানি ও আকাশসহ সকল পথের) নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
এখানে সংশ্লিষ্টদের মানসিকতার পরিবর্তন এবং একটি সুসংগঠিত শক্তিশালী অহিংস সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সেই সামাজিক আন্দোলনে সাধারন মানুষ, শিক্ষার্থী, মন্ত্রী ও মন্ত্রনালয়, অধিদপ্তর-পরিদপ্তর, কর্মকর্তা-কর্মচারী, মালিক-শ্রমিক, পরিবহন-শ্রমিক সংগঠন, সমাজকর্মী, বুদ্ধিজীবি ও শিক্ষক-গবেষকসহ সবাইকে সংশ্লিষ্ট করতে হবে।
৬. যাত্রীদের অর্থাৎ দেশ ও সমাজের স্বার্থে এবং পরবর্তী প্রজন্মকে একটি নিরাপদ ও নিশ্চিত যাত্রী সেবা ব্যবস্থা দেওয়ার জন্যে কাউকে না কাউকে আগিয়ে আসতেই হবে।
আপনি কি প্রস্তুত?
৭. সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা।
লেখকঃ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিএম কামরুল ইসলাম এসপিপি এনডিসি (অবঃ)।
সভাপতি
যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.